মির্জাপুরে জোরপূর্বক প্রবাসীর জমি দখলের অভিযো
উপজেলা প্রতিনিধি মির্জাপুর টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইল মির্জাপুর উপজেলার আনাইতারা ইউনিয়ন ২ নং ওয়ার্ড ফতেপুর দক্ষিণ পাড়া এলাকায় জোরপূর্বক মোবারক হোসেন বুদ্দু নামের এক প্রবাসীর জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী মামুনের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, গত কয়েক বছর পূর্বে মোবারক হোসেন বুদ্ধুর ক্রয়কৃত জমি দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ করে মামুন । প্রবাসী মোবারক হোসেন বিদেশ থাকায় এলাকার চেয়াম্যান মেম্বার দিয়ে বাঁধা দিলেও মামুন নির্মাণ কাজ চালিয়ে দোকান ঘর নির্মাণ করেন। দেশে এসে মোবারক হোসেন বাধ্য হয়ে টাঙ্গাইল অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। ঐ ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার মৃত আফছার উদ্দিনের ছেলে প্রবাসী মোবারক হোসেন বুদ্দু তার বসতবাড়ি সংলগ্ন নওজেস আলী ও তাহার স্ত্রীর কাছ থেকে ১৯৯১ সালে অষ্টোবর মাসের ২৮ তারিখে ১৯ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। যার মৌজা ফতেপুর, খতিয়ান নং সাবেক ১০০৯ বর্তমান ১৪১৬, দাগ নং ১২৭৭,১২৭৭। এর কিছু দিন পর প্রতিবেশী মৃত খন্দকার হামিদুরের ছেলে খন্দকার মামুন হোসেন নওজেস এর কাছ থেকে কিছু জমি ক্রয় করেন। মোবারক হোসেন বলেন, মামুন আমার ৩ মাস পরে জমি ক্রয় করে। কিন্তু আমি এই জমিতে ১৯৮৪ সালে জমি ভাড়া নিয়ে একটি রাইচ মেলে স্থাপন করি। পরে ১৯৯১ সালে আমি জমিটা ক্রয় করি। এই জমি নিয়ে টাংগাইল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে আমার নামে মামলা করে মামুন। মামলার রায় আমার পক্ষে আসে। রায় পাওয়ার পরেও আমার জায়গায় জোর পূর্বক দখল করে রেখেছে। আমি আমার জমি পরিমাপের জন্য চেয়ারম্যান মেম্বার সহ এলাকার মাতাব্বরের কাছে ঘুরেছি। কিন্তু আমার জমি পরিমাপ করার মত কাউকে পাইনি। সবশেষে মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমান স্যারে কাছে একটি জমি পরিমাপের জন্য আবেদন করলে, তিনি আনাইতারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট পাঠান। কিন্তু চেয়ারম্যান রাজনৈতিক মামলায় গোপনে থাকায়,আনাইতারা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আমাকে একটি মোকদ্দমা প্রতিবেদন দেন। প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে, বিবাদী হাজির না হয়ে প্রতিবেদনে স্বাক্ষরকারীর বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দেন। এর কিছুদিন পর মামুন মোবারক হোসেনের বিরুদ্ধে ৭ ধারায় উকিল নোটিশ পাঠায়। এর আগেও মামুন কিছুদিন পর পর আমার বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা করে। আমি দেশে না থাকায় আমার নামে ওয়ারেন্ট হয়। এমতাবস্থায় আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। সরকারের কাছে সুবিচার চাই। একই গ্রামের বৃদ্ধ মুন্নাফ হোসেন বলেন, মামুন প্রভাবশালী হাওয়ায় তার বিপক্ষে কেউ কথা বলে না। এ বিষয়ে মামুনের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তাকে বাড়ি পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ফোনটি বন্ধ থাকায় সম্ভব হয়নি। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান চান এলাকাবাসী।
মন্তব্য করুন