এবার টাঙ্গাইলে প্রশিক্ষণরত ১৪ কনস্টেবলকে অব্যাহতি
মির্জাপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে এবার টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষণরত ১৪ কনস্টেবলকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মাহফুজুর রহমান স্বাক্ষরিত আদেশে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
আদেশে বলা হয়েছে, ‘শৃঙ্খলা ভঙ্গজনিত কারণে ২ জানুয়ারি অপরাহ্ন হতে প্রশিক্ষণ থেকে স্থায়ীভাবে তাদের অব্যাহতি প্রদান করা হলো।’
অব্যাহতি পাওয়া প্রশিক্ষণরত কনস্টেবলরা রাতেই ট্রেনিং সেন্টার ত্যাগ করে যার যার বাড়িতে রওনা হয়ে গেছেন বলে জানা গেছে।
গব বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে এ পর্যন্ত রাজশাহীর সারদা পুলিশে একাডেমির ৩২১ জন এসআইকে অব্যাহতি দিয়েছে সরকার। এবার মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের প্রশিক্ষণরত ১৪ কনস্টেবলকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।
মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৪ জুন থেকে ৫৪তম ব্যাচে মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে ৭৯৩ জন কনস্টেবলের ছয় মাস মেয়াদি মৌলিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়। এদের মধ্যে ছয়জন অসুস্থ হওয়ায় তাদের বাদ দেওয়া হয়। পরে ৭৮৭ জন কনস্টেবল প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। ১৯ ডিসেম্বর প্রশিক্ষণরত ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবলের (টিআরসি) সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। কিন্ত তারিখ পরিবর্তন করে অনিবার্য কারণে করে ১২ জানুয়ারি করা হয়।
অ্যাডিশনাল ডিআইজি মাহফুজা আক্তারের স্বাক্ষরিত বাতিল হওয়া কুচকাওয়াজের চিঠিতে বলা হয়, চলমান প্রশিক্ষণের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান গত ১৯ ডিসেম্বর নির্ধারিত ছিল। অনিবার্য কারণে সমাপনী কুচকাওয়াজ সাময়িকভাবে স্থগিত আগামী ১২ জানুয়ারি পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে।’
অব্যাহতি পাওয়া কনস্টেবলরা জানান, ৭৮৭ জন কনস্টেবলের ‘১৯১ দিন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন তারা। পাসিং প্যারেড হওয়ার কথা থাকলে সেটির তারিখও পরিবর্তন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে তাদের অব্যাহতির চিঠি দেওয়া হয়।
শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ করা হলেও তারা শৃঙ্খলা ভঙ্গের কোনো কাজ করেননি বলে জানান। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তাদের নিয়োগ হওয়ায় অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের সহকারী পুলিশ সুপার ১৪ ট্রেইনি রিক্রুট পুলিশ সদস্যকে অব্যাহতি দেয়ার কথা স্বীকার করেন।
মির্জাপুরের মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের পুলিশ সুপার সাহেদ মিয়া বলেন, হেডকোয়ার্টার ছাড়া এ বিষয়ে আমরা কোনো বক্তব্য দিতে পারব না।’
মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ডান্ট (ডিআইজি) মোহাম্মদ আশফাকুল আলম ও অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মাহফুজুর রহমানের মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন