শ্রীপুরে এক ব্যবসায়ীকে দুই লাখ টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয় এস আই আঃ কুদ্দুস
গাজীপুর, শ্রীপুর প্রতিনিধ,
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ইউনিয়নে ৫ নং ওয়ার্ড ধনুয়া গ্রামের মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী সবুজ সরকারকে বিনা অপরাধে হাতকড়া পড়িয়ে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনার পর ফেসবুকে পোষ্ট করলে ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেয়া হয় সাথে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে নেয়া দুই লাখ টাকাও ফেরত দেয় পুলিশ।
গত শুক্রবার বিকেলে উপজেলার ধনুয়া নয়নপুর হানু মার্কেট এলাকার নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে মোবাইল ব্যবসায়ী সবুজ সরকারকে আটক করেন চকপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আব্দুল কুদ্দুস মৃধা। ব্যবসায়ীর অভিযোগ সে সময় ব্যবসায়ী ক্যাশ থেকে দুই লাখ টাকা ও মোবাইল ফোনও কেড়ে নেয় পুলিশ।
ভুক্তভোগী সবুজ সরকার ধনুয়া গ্রামের আফতাব উদ্দিন সরকারের ছেলে।
ব্যবসায়ী সবুজ অভিযোগ করেন, তাকে হাতকড়া পরিয়ে মাওনা পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ফাঁড়ির মটরের পাইপের সঙ্গে হাতকড়া বেঁধে আটকে রাখা হয়।
সবুজ বলেন, আমার বাবার জমি বিক্রির ৭৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন আমার চাচা আওয়ামীলীগ নেতা সুলতান সরকার, তার সাথে আমাদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। চাচার বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদ করায় পুলিশ আমাকে আটক করে। তবে ফাঁড়িতে আটক অবস্থায় কৌশলে মোবাইল দিয়ে সেলফি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করি। এক ঘণ্টা পর আমাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
সাথে আটকের সময়, আমার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ও মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। পরে পুলিশ সেই টাকা আমার মায়ের কাছে ফেরত পাঠায়।
তার ফেসবুক পোস্টে লেখা ছিল, “আমাকে হাতকড়া পরিয়ে কেন আটক করা হলো? আবার ছেড়ে দেওয়া হলো কেন? সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার ও হাতকড়া পরানোর নিয়ম নেই।”
চকপাড়া ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আব্দুল কুদ্দুস বলেন,। সবুজকে আটক করা হয়েছিল। তবে তাকে ফাঁড়িতে নেওয়া হয়নি। জমি সংক্রান্ত বিরোধের কারণে আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কায় তাকে আটক করা হয়। টাকা ফেরতের বিষয়ে তিনি বলতে কোন মন্তব্য করেন না জানিয়েছেন ।
গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী যাবের সাদেক বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। সত্যতা পাওয়া গেলে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন