ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে বুধবার সন্ধ্যায় খেলাফত মজলিস আয়োজিত এক গণসমাবেশে দলটির শীর্ষ নেতারা সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক ইস্যুতে কঠোর বক্তব্য দেন। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলটির অন্যতম নেতা মামুনুল হক।
সমাবেশে মামুনুল হক অভিযোগ করেন, চট্টগ্রামে আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবী হত্যাকাণ্ডের পেছনে ইসকনের ভূমিকা রয়েছে। তিনি দাবি করেন, ইসকন সাম্প্রদায়িক উস্কানি ও অরাজকতা সৃষ্টি করছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ইসকনকে নিষিদ্ধ করার জন্য আমরা সর্বোচ্চ আদালতের দিকে তাকিয়ে আছি। যদি আদালত ব্যবস্থা না নেয়, আলেম সমাজই তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।”
হিন্দু সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে তিনি আশ্বাস দেন, “আপনাদের নিরাপত্তা রাষ্ট্র দিতে ব্যর্থ হলে খেলাফত মজলিস তা নিশ্চিত করবে। তবে দেশের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্রে জড়াবেন না।”
আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর সমালোচনা করে মামুনুল হক বলেন, “ইসলামী জনতা ও আলেম সমাজ সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে আলেমদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে। শেখ হাসিনার মতো দানব সরকার আর হবে না।”
তিনি দাবি করেন, ফরিদপুরের মধুখালীতে দুই মুসলিম ভাইকে হত্যা এবং সেই হত্যার সঠিক বিচার না হওয়ার কারণেই চট্টগ্রামের আইনজীবী হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
মামুনুল হক অন্তবর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “দেশে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে দ্রুত নির্বাচন দিন। জনগণ নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে।”
সমাবেশে ফরিদপুর-১ আসনে মুফতি শারাফত হুসাইন এবং ফরিদপুর-৪ আসনে মাওলানা মিজানুর রহমানকে খেলাফত মজলিসের দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন খেলাফত মজলিসের ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আমজাদ হোসাইন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা শাখার উপদেষ্টা শাইখুল হাদীস আল্লামা শাহ আকরাম আলী, আল্লামা হেলালুদ্দীন এবং আল্লামা আবুল হুসাইন।
দুপুর থেকেই ফরিদপুরের বিভিন্ন উপজেলা থেকে মিছিল নিয়ে খেলাফত মজলিসের নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে জড়ো হন। গণসমাবেশে ইসকনের বিরুদ্ধে কঠোর বক্তব্য এবং দলীয় প্রার্থী ঘোষণা রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা সৃষ্টি করেছে।
মন্তব্য করুন