মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয় অধ্যাপক ড.রফিকুল ইসলাম বাচ্চুকে

আজিজ ফকির শ্রীপুর গাজীপুর

গাজীপুর ৩ আসনের ধানের শীষের কর্ণধার কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সাহসী রাজনীতিবিদ।

গত ২৪ নভেম্বর ২০২৩ বেলা ২ টার দিকে গাজীপুরের শ্রীপুরে অগ্নি সংযোগ করে গাড়ী পোড়ানোর মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. এস এম রফিকুল ইসলাম বাচ্চুকে (৫৭) গ্রেপ্তার করানো হয়েছিল র‌্যাব-১ দিয়ে। গাজীপুর মহানগরীর ধীরাশ্রম এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

এ বিষয়ে র‌্যাব-১ গাজীপুরে ডা. এস এম রফিকুল ইসলাম বাচ্চু গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানা এলাকায় গাড়ীতে অগ্নিসংযোগ ও বিস্ফোরক মিথ্যা মামলার প্রধান আসামি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বিএনপির এ কেন্দ্রীয় সাহসী রাজনীতিবিদ নেতাকে গ্রেপ্তার করানো হয়।

যে কিনা দল উপদলীয় হানাহানি আর হিংসাত্মক রাজনীতির বিপরীতে জাতি হিসেবে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সুযোগ করে দেয়।
অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু।
হার না মানা বাঙালির চিরায়ত রুখে দাঁড়ানোর সাহসের নাম অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বাচ্চু এবং
ঐক্যবদ্ধ জনতার প্রতীক।
জনতার জাতীয় সম্ভাবনার পথ নির্দেশক।
প্রহসনের ডামি নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্যাতন ততই বেড়ে চলছে। যুগে যুগে স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠী বিরোধী মতের মেধাবি রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের উপর চালিয়েছে অমানবিক অত্যাচার নির্যাতন।
সেই ধারা বজায় রেখে সারা বাংলাদেশকে জিম্মি করে রেখেছে বাকশালি এ সরকার।

অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলামের প্রতি দেশের বেশিরভাগ মানুষের আস্থা রয়েছে। আসলে দেশে আমরা বিএনপির নেতাকর্মীরা ১৫ বছর নির্যাতনের শিকার হয়েছি গুম, খুন ও নির্যাতনের পর এখনো দেশের জন্য কাজ যাচ্ছি।

রাজনীতিতে
ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চুর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের।
ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু
চিকিৎসক ও
পেশাজীবী নেতা।

ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চুকে গ্রেপ্তারের নিন্দা বিবৃতিতে ডা. বাচ্চুর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছে। আহ্বায়ক অ ধোনধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও সদস্যসচিব সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরী বিবৃতিতে বলেন, ‘ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চুর মতো একজন পেশাদার চিকিৎসককে গ্রেপ্তার দেশের জন্য সুনাম ও কল্যাণ বয়ে আনবে না।’

গাজীপুরে বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম বাচ্চু গ্রেপ্তার
বিবৃতিতে ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, ‘রফিকুল ইসলাম বাচ্চুকে আটকের পর কেন চোর, ডাকাত, খুনি, সন্ত্রাসীদের মতো ফটোসেশন করে তা জনসমক্ষে প্রচার করতে হবে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি তারা সব নাগরিকের জান, মাল ও সম্মানসহ সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

‘বর্তমান সরকারের আমলে পেশাজীবীরা ন্যূনতম সম্মান ও নিরাপত্তা পাচ্ছেন না’ উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চুই নয়, ইতোমধ্যে অন্তত আরও ৩০ জন পেশাজীবীকে বিনা কারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কাপাসিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এবং সাংবাদিক ইউনিয়ন গাজীপুরের (জেইউজি) যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, দৈনিক ইনকিলাবের সাংবাদিক শামসুল হুদা লিটন, চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মইনুল হোসেন সাদিক ও অধ্যাপক ডা. এম ও আরো অনেককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।